আত্মবিশ্বাস বাড়াতে গাই উইঞ্চের ৫ পরামর্শ
সাফল্যের জন্য সঠিক মাত্রায় আত্মবিশ্বাস অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু আমাদের আত্মবিশ্বাস সঠিক মাত্রায় বজায় রাখা অত্যন্ত কঠিন। ২৫ বছরের অভিজ্ঞ মনোবিদ গাই উইঞ্চ আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কয়েকটি অত্যন্ত কার্যকর উপায় বাতলে দিয়েছেন।
গাই উইঞ্চ বলেন, অধিকাংশ মানুষের আত্মবিশ্বাসে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। এটি প্রতিদিন কমবেশি হয়ে থাকে। এমনকি কারও কারও ঘণ্টায় ঘণ্টায়ও বদলে যায় আত্মবিশ্বাসের মাত্রা। আর এ বিষয়টি সঠিক মাত্রায় বজায় রাখার জন্য কয়েকটি উপায় প্রকাশ করেছেন তিনি।
আত্মবিশ্বাস বাড়াতে আপনাকে সাহায্য করবে পাঁচটি বিষয়—
১. ইতিবাচক শপথ
মনের মাঝে বয়ে চলা সব নেতিবাচক চিন্তা দূর করে তার বদলে ইতিবাচক চিন্তা জাগিয়ে তুলুন। সর্বদা মনে রাখতে হবে, আপনি যা চিন্তা করছেন আপনি তাই। কিন্তু অনেকেই আবার বিষয়টিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন, যা মানুষকে আলসে করে দিতে পারে। এ কারণে মনের মাঝে সঠিকভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ‘আমি সফল হব’ এমন চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। তার বদলে ‘আমি সাফল্য না পাওয়া পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব’ শপথই সবচেয়ে ভালো।
২. ভালো বিষয়গুলো জেনে রাখুন
আপনি হয়ত বিশ্বের সব বিষয় ভালোভাবে জানেন না। কিন্তু এমন কিছু বিষয় নিশ্চয়ই আছে, যা আপনার একেবারে নখদর্পণে। আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য সে বিষয়গুলোতেই জোর দিন। নিজের ওই গুণ কিভাবে আরও মানুষের মাঝে পৌঁছানো যায়, দায়িত্বশীল ও বড় ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া যায় সেজন্য চেষ্টা করুন।
৩. প্রশংসা গ্রহণ করা শিখুন
অন্য কেউ আপনার প্রশংসা করলে আপনি কি অপ্রস্তুত হন? অনেকেই এখন সঠিকভাবে প্রশংসা গ্রহণ করতে পারছেন না। আত্মবিশ্বাসের অভাবেরও একটি লক্ষণ এটি। প্রশংসা গ্রহণ করার জন্য সঠিকভাবে অনুশীলন করতে হবে। কেউ প্রশংসা করলে বলা যাবে না যে, সেটি সত্য নয়। তার বদলে ধন্যবাদসহ জানাতে হবে যে, তিনি অত্যন্ত হৃদয়বান বা সহানুভূতিশীল বলেই এ বিষয়টি বলছেন।
৪. অন্যের সামনে নিজের সমালোচনা নয়
নিজের দোষ অন্যের কাছে প্রকাশ করার কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এতে এক পর্যায়ে অন্যরা আপনার প্রতি বিশ্বাস হারাতে পারে। নিজের প্রতি হতাশায় অনেকেই আত্মবিশ্বাস নষ্ট করেন। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, নিজের সমস্যা নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সেটি নিজেকে সংশোধনের জন্য। এটি যেন কোনোক্রমেই হতাশায় পর্যবসিত না হয়।
৫. নিজের মূল্য জানুন
আপনার নিজের যে গুণগুলো রয়েছে, সেগুলো ভুলে গেলে চলবে না। নিজেকে কোনোভাবেই মূল্যহীন মনে করবেন না। প্রয়োজনে আপনার নিজের মূল্য বিষয়ে একটি প্যারাগ্রাফ লিখুন এবং তা মাঝে মাঝে পড়ুন।